Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ মে ২০২৩

ওয়াক্‌ফ প্রশাসক

ড. খান মো: নুরুল আমিন

ওয়াক্‌ফ প্রশাসক, বাংলাদেশ

(অতি: সচিব)

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়

 

ড. খান মোঃ নুরুল আমিন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডারের একজন গর্বিত সদস্য। তাঁর গ্রামের বাড়ি নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলাধীন ৩নং শালনগর ইউনিয়নের নওয়াখোলা গ্রামে। তাঁর পিতা-মরহুম মৌঃ গোলাম নবী খান এলাকার একজন প্রখ্যাত আলেম ও  শিক্ষক এবং  মাতা মরহুমা বেগম শাফিয়া খাতুন একজন আদর্শ গৃহিণী ছিলেন।  তাঁর বড় দু‘ভাই মরহুম মোঃ মতিয়ার রহমান খান (কচি খাঁ) ও মেজ ভাই মরহুম খান আলী আহমেদ (ব্যাংকার) ১৯৭১ সালের রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা। ছোট ভাই মওলানা মোঃ রওশন আলম খান বিজিবি‘র ধর্মীয় শিক্ষক ও ইমাম।  তিনি শালনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাকড়াইল কে.কে.এস ইনস্টিটিউশন (হাইস্কুল), দৌলতপুর সরকারি ব্রজলাল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি সমাজকল্যাণ বিষয়ে অনার্সসহ মাষ্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। অত:পর জনাব আমিন ১৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৯৯৫ সালে প্রশাসন ক্যাডারের চাকরিতে যোগদান করেন। চাকরিতে প্রবেশের পর তিনি এল-এলবি, গভর্ন্যান্স স্টাডিজে মাস্টার্স, এমবিএ এবং মাস্টার্স ইন পাবলিক পলিসি এন্ড ম্যানেজমেন্ট (এমপিপিএম) ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিটমহলের উপর ‘পিএইচডি গবেষক’ হিসেবে কাজ করছেন।

 

প্রশাসনের বিভিন্ন পদে সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সিনিয়র সহকারী সচিব, উপসচিব হিসেবে তিনি বিভিন্ন উপজেলা, জেলা ও শিল্প মন্ত্রণালয়ে চাকরি করেন। বিশেষ করে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২০১২ সালের ১৯ মার্চ থেকে প্রায় সাড়ে তিন বছর সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে চাকরি করার দূর্লভ সুযোগ পান। অতঃপর সদাশয় সরকার তাঁকে কুড়িগ্রাম জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ করেন, যেখানে তিনি ৬৮ বছরের ছিটমহল সমস্যার সমাধান ও উন্নয়নে দিবারাত্র অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তাছাড়া কুড়িগ্রাম জেলায় বাল্যবিবাহ নিরসনে তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখেন এবং স্কাউটিং কার্যক্রমকে বেগবান করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর কর্মকালে দু‘দুবার কুড়িগ্রাম জেলা সফর করেন। অতঃপর সরকার জনাব আমিনের পারফরমেন্সে সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে দ্বিতীয়বারের মত টাঙ্গাইল জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ করেন। তিনি টাঙ্গাইল জেলায় সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি স্কাউটিং কার্যক্রমকে জোরদার করেন এবং টাঙ্গাইল জেলাকে স্কাউট জেলায় পরিণত করতে অসামান্য অবদান রাখেন। জনাব আমিন ২০১৮ সালে মাননীয় প্রধামনন্ত্রীর হাত থেকে সিভিল সার্ভিসের সবচেয়ে গৌরবজনক ও সম্মানজনক পদক ‘জনপ্রশাসন পদক’ লাভ করেন। ২০১৮ সালে যুগ্মসচিব হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্তির পর তিনি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে যুগ্মসচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পরিচালক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সচিব পদে দায়িত্ব পালন করেন। এ কার্যালয়ে যোগদানের অব্যবহিত পূর্বে তিনি ঢাকা বিভাগের অতি: বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন ও আইসিটি এবং এপিএমবি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ স্কাউটসের একজন উড ব্যাজার এবং টিকেট টু লাইফ প্রকল্পের ‘ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইতোমধ্যে সরকারি কাজে ভারত, দ: কোরিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, স্পেন, পর্তুগাল, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও চীনসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন। তিনি তাঁর মরহুম পিতা মাতার নামে “মৌ: গোলাম নবী-শাফিয়া ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট” এর ব্যনারে এলাকার উন্নয়ন ও দ্বীনের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। মা, মাটি ও মানুষের সেবা করে যেন ইমানের সাথে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারেন সেজন্য তিনি সকলের নিকট দোয়া প্রার্থী।